মাধাইয়া মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি কলেজ
Madhaiya Muktijodda Smriti College
নাওতলা, মাধাইয়া, চান্দিনা, কুমিল্লা।
খবর

প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। EIIN-১১৪৪৬০
মধুপুর চিরপরিচিত ভৌগোলিক একটি নাম। জেলাসদর টাঙ্গাইল হতে ময়মনসিংহ এবং জামালপুর সংযোগকারী মহাসড়কের মাঝপথে বংশাই নদীর তীরে এর অবস্থান। বংশাই ব্রীজের উত্তর পাড়ে বাসস্ট্যান্ড, আর দক্ষিন পাড়ে চলমান রাস্তার পশ্চিমে থানা, পূর্বে সামান্য এগিয়ে উপজেলা কম্পলেক্স। উপজেলা পরিষদ ভবন সংলগ্ন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বধ্যভূমির পাশে ‘মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়’ এর স্কুল শাখা আর পাশেই প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠে প্রান্ত—দেশ ঘেষে কলেজ শাখার ইমরাত। ১৯৯৫-১৯৯৬ শিক্ষাবর্ষে সরকারের শিক্ষা সম্প্রসারন নীতির আওতায় অগ্রসরমাণ বিদ্যালয় হিসেবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের প্রথম স্বীকৃতি প্রাপ্ত মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। প্রথম ব্যাচের ছাত্র-ছাত্রীরা ১৯৯৭ সালে এইচ.এস.সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। এ প্রতিষ্ঠাটি ২০০৩ সনের এইচ.এস.সি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডের টপটেন কলেজের নবম স্থান অধিকারী, শিক্ষা মন্ত্রনালয় কর্তৃক ২০০৪ সনে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কলেজ হিসেবে মহামান্য রাষ্ট্রপতি প্রদত্ত পদক প্রাপ্ত।

১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার জন্য আলহাজ মো. নূর রহমান ও এলাকা বাসি্র আন্তরিক সহযোগিতায় ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত “মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়”। ১৯৯৫-৯৬ শিক্ষাবর্ষে সরকারের শিক্ষা সম্প্রসারণ নীতির আওতায় অগ্রসরমান বিদ্যালয় হিসেবে একাদশ শ্রেণি খোলার জন্য ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের প্রথম স্বীকৃতি প্রাপ্ত মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়টিকে মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে (স্কুল এন্ড কলেজ) রুপান্তরিত করা হয়।

প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই প্রতিষ্ঠানটি জুনিয়র বৃত্তি ও বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় মেধাস্থানসহ বরাবরই অত্যন্ত ভাল ফলাফল করে আসছে এবং প্রতিষ্ঠানটি টাঙ্গাইল জেলা তথা বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।

প্রতিষ্ঠানটির ভৌত অবকাঠামো নিম্নরুপঃ

স্কুল শাখা- ২টি চারতলা ও ১টি পাঁচতলা একাডেমিক ভবন, ৩টি টিনসেড ছাত্রাবাস।

কলেজ শাখা – ১টি চার তলা একাডেমিক ভবন, ৫তলা আলহাজ মো. নূর রহমান ছাত্রবাস এবং ৮টি টিনসেড ছাত্রাবাস। ত্রিতল অধ্যক্ষ ভবনের ২য় তলায় একটি ছাত্রী হোস্টেল। দুটি সুসজ্জিত কম্পিউটার ল্যাব, ২টি আধুনিক ল্যাবরেটরি, ১টি পাঠাগার ।

বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা: স্কুল শাখা-২,১৫৪ জন, কলেজ শাখা- ৮৩৯জন।

প্রজেক্টর এর মাধ্যমে আধুনিক পাঠদান। লোড সেডিং চলাকালে নিজস্ব জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা।

শিক্ষক: স্কুল শাখায় ৩২জন এবং কলেজ শাখায় ২২ জন শিক্ষক কর্মরত (খন্ডকালীন সহ)।

মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়

মধুপুর, টাঙ্গাইল।

স্কুল ভবন একাংশ কলেজ ভবন

পটভূমিঃ

বংশাই (নদী) ঘেরা, লাল মাটিতে গড়া, লাল গজারিতে ভরা, জাতি-উপজাতি অধ্যুষিত মধুপুর টাঙ্গাইল জেলার একটি উপজেলা। এ মধুপুর সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রের ‘মধুপুর’। স্বাধীনতা যুদ্ধের এক অনন্য সম্ভার এ মধুপুর। বংশাই নদীর পারে পাক হানাদার বাহিনী বৃহত্তর ময়মনসিংহের লাল এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে ধরে নির্মমভাবে হত্যা করত। সেখানেই নির্মিত হয়েছে শহীদ মিনার। আর শহীদ মিনারের কাছেই শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে গড়ে উঠেছে শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

স্বাধীনতার পর অত্র এলাকার কিছু বিদ্যোৎসাহি যুবক এখানে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার চিন্তা করেন। এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও আওয়ামীলীগের একনিষ্ঠ কর্মী স্বর্গীয় বিনোদ লাল সিংহের উৎসাহে এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগীদের নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মধুপুর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব আতিকুর রহমান। সভায় অন্যান্য যারা উপস্থিত ছিলেন স্বর্গীয় জনাব বিনোদ লাল সিংহ, আব্দুল আজিজ খান (শিক্ষা অফিসার), কাজিম উদ্দিন মন্ডল, আফাজ উদ্দিন খান, আব্দুর রহমান , কোরবান আলী (আকাশী), আজিজুল হক (আকাশী), আব্দুল হামিদ মেম্বার, টুকরা হাতেম আলী, লাল মিয়া (পুন্ডুরা) আব্দুল করিম, আব্দুর রহিম, আব্দুর রশিদ মন্ডল, চাঁন মামুদ সরকার, হাবিবুর রহমান, জাকির হোসেন বাচ্চু, মহেন্দ্র লাল বর্মন, আব্দুর রহমান খান, আব্দুল কাদের মেম্বার, আব্দুস সালাম (পুন্ডুরা), আবুল হোসেন (বি.কম), আবুল হোসেন (বি,এসসি), আব্দুল জব্বার, আব্দুর রশিদ (বর্তমান শিক্ষক), আমীর হোসেন, ডা. জোয়াদ আলী ও আরও অনেকে। এক্ষেত্রে কুড়ালিয়ার জনাব মোঃ নূর রহমান বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনা প্রদান করেন।

সভায় একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এক্ষেত্রে থানা শিক্ষা অফিসার জনাব মোঃ আব্দুল আজিজ মধুপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাজ শুর“ করার অনুমতি দান করেন। সেভাবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জুব্বার সাহেব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ক্লাসের সময় নির্ধারণ করা হয় সকাল ৭ টা থেকে ১০ টা। ৬৫ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে ০১.০৩.১৯৭২ থেকে যাত্রা শুর“ হয় মধুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের (সূচনালগ্নে নাম)।

নামকরণঃ

পরবর্তী এক সভায় পুন্ডুরার আব্দুল কাদের মেম্বারের প্রস্তাবে এবং সকলের সমর্থনে নাম রাখা হয় মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়। যা বর্তমানে মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রূপ নিয়েছে।

স্বীকৃতি :

১৯৭৩ সাল থেকে বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ব্যাপারে যাদের নাম স্মরণযোগ্য তাঁরা হলেন তৎকালীন মন্ত্রী জনাব আব্দুল মান্নান (টাংগাইল), সাংসদ হাতেম আলী তালুকদার (গোপালপুর), সাংসদ আব্দুস ছাত্তার (মধুপুর), সর্বোপরি শিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক ইউছুফ আলী। ১৯৭৩ সন থেকেই নবম শ্রেণী খোলার অনুমতি পায় এবং ১৯৭৫ সনে প্রথম ব্যাচ এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে।

নিজ গৃহ :

প্রতিষ্ঠালগ্নে গ্রামের সাধারণ মানুষের নিকট থেকে ধান, স্বল্পমূল্যে কোরবানীর চামড়া, কাঠ, বাঁশ প্রভৃতি সংগ্রহ করে একটি টিনের ঘর দেওয়া হয়। সে সময়ে টাংগাইল জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়ন, মধুপুর ট্রাক ড্রাইভার্স ইউনিয়ন যথেষ্ট সহায়তা করেছে।

উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়

১৯৯৫ সনে অগ্রসরমান বিদ্যালয় গুলোতে একাদশ শ্রেণী খোলার সরকারী সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জনাব আলহাজ মোঃ নূর রহমান এবং তৎকালীন প্রধান শিক্ষক জনাব আলহাজ এম.মনছুর আলী একাদশ শ্রেণী খোলার ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তাঁরা স্থানীয় শিক্ষানুরাগীদের নিয়ে এ ব্যাপারে আলোচনা করলে সকলে সম্ভাব্য সাহায্য সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পরবর্তী সময়ে অত্র বিদ্যালয়ের বিজ্ঞ কমিটি একাদশ শ্রেণী খোলার সিদ্ধান্ত নেন এবং বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের পাশে আলাদা ভবন করে ১৯৯৫-৯৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীর ক্লাস শুর“ হয়। এ প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এর দায়িত্ব প্রদান করা হয় প্রধান শিক্ষক জনাব এম. মনছুর আলী কে। সে থেকেই এর নামকরণ হয় মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। যা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, ঢাকা কর্তৃক প্রথম স্বীকৃত উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ১৯৯৭ সনেই এর প্রথম ব্যাচ এইচ.এস.সি পরীক্ষা দেয়।

প্রতিষ্ঠান পরিচিতি

নাম : মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

প্রতিষ্ঠাকাল : ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দ (০১.০৩.১৯৭২)

ক্লাসের সময় : সকাল ১০ টা থেকে ৪ টা।

শ্রেণী : ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ

শাখা : ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত ২১টি শাখা,

একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে মোট শাখায় ৬টি শাখা।

পোশাক (স্কুল) : ছাত্রদের নেভী ব্লু প্যান্ট, সাদা শার্ট, ও কেডস্।

ছাত্রীদের সবুজ জামা, সাদা সেলোয়ার, সবুজ ওড়না, স্কার্প ও কেডস্।

পোশাক (কলেজ) : ছাত্রদের কালো ফুল প্যান্ট, সাদা শার্ট, কালো টাই ও সু।

ছাত্রীদের সাদা জামা, সাদা সেলোয়ার, সবুজ ওড়না, স্কার্প ও কেডস্।

কক্ষ সংখ্যা : স্কুল শাখা – ৩৩টি (২৩টি শ্রেণী কক্ষ)

কলেজ শাখা – ১৩ টি (শ্রেণী কক্ষ ৭টি)

ছাত্রাবাস : প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই স্কুল শাখায় আলহাজ নঈম উদ্দিন ছাত্রাবাস ও কলেজ শাখায় আলহাজ নূর রহমান

ছাত্রাবাস রয়েছে।

ছাত্রাবাসে আসন সংখ্যা : আলহাজ নঈম উদ্দিন ছাত্রাবাস ১৮০টি

আলহাজ নূর রহমান ছাত্রাবাস ৩০০টি।

এ প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষ হিসেবে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন

ক্রমিক নং প্রধান শিক্ষক/ অধ্যক্ষের নাম পদবী সময়কাল

০১ জনাব মোঃ আবুল হোসেন মিঞা বি.এসসি, বি.এড প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) ০৫.০২.৭২ জ্জ ৩১.০১.৭৩
০২ জনাব মোঃ আব্দুস ছাত্তার বি.এ, এম.এড প্রধান শিক্ষক ০১.০১.৭৩ জ্জ ৩০.১০.৮৪
০৩ জনাব মোঃ আবুল হোসেন বি.এসসি, বি.এড প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) ১.১১.৮৪ জ্জ ০১.০১.৮৫
০৪ জনাব এম. মনছুর আলী এম.এ, বি.এড প্রধান শিক্ষক/ অধ্যক্ষ ২.০১.৮৫ জ্জ ৩০.০৮.০২
০৫ জনাব মোঃ মনসুর রহমান এম.এসসি অধ্যক্ষ ০১.০৯.০২ জ্জ ১১.০২.০৭
০৬ জনাব মোঃ বজলুর রশীদ খান বি.এস.এস (স)
এম.এস.এস, এম.এ অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ১২.০২.০৭ জ্জ ২৪.০১.০৯
০৭ জনাব মোঃ হোসেন শহীদ বি.এসসি (স) এম.এসসি অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ২৫.০১.০৯ জ্জ ১১.০২.০৯
০৮ জনাব মোঃ বজলুর রশীদ খান বি.এস.এস (স)
এম.এস.এস, এম.এ অধ্যক্ষ ১২.০২.০৯ জ্জ